ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে মোবাইল কারখানা স্থাপনের নির্দেশিকা প্রকাশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২৭৯ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশেই মোবাইল তৈরির কারখানা স্থাপন ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (হাওর বার্তা) একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে ৮ হাজার কোটি টাকার মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে দেশীয় উৎপাদনের সুযোগ নিশ্চিত করতে মোবাইল ডিভাইস উৎপাদন ও সংযোজন কারখানা স্থাপনের নির্দেশিকা জারি করেছে হাওর বার্তা । গতকাল এই নির্দেশিকাটি হাওর বার্তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে।
নির্দেশিকা অনুসারে এ বিষয়ে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুই ধরনের তালিকাভুক্তি সনদ দেওয়া হবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির সনদ নিতে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে হাওর বার্তাকে। সঙ্গে যোগ হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। একই সঙ্গে তাদেরকে মানসম্মত লে-আউটের মাধ্যমে নিজস্ব একটি টেস্টিং ল্যাব করতে হবে। এসব ল্যাবে প্রয়োজনীয় সব টেস্টিং সুবিধাসম্পন্ন বিভিন্ন বিভাগ বা শাখা থাকতে হবে। অন্যদিকে যারা ‘বি’ ক্যাটাগরির সনদ নেবে তাদের লাগবে ১০ লাখ টাকা। এই ক্যাটাগরিতে তাদের নিজেদের টেস্টিং ল্যাব না থাকলেও চলবে। তবে তাদের ‘এ’ ক্যাটাগরির সনদধারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে তাদের হ্যান্ডসেট উৎপাদন বা সংযোজনের যাবতীয় টেস্ট সম্পন্ন করাতে হবে। আবার  ‘বি’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত সনদপ্রাপ্তরা তাদের যাবতীয় টেস্টিং সুবিধা বা যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ নিজস্ব ল্যাব স্থাপন করতে সক্ষম হলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করাতে পারবে এবং তারা সনদ পাবে।
সব ক্যাটাগরির তালিকভূক্ত কোম্পানিরা তাদের নিজস্ব ল্যাব স্থাপনের আগ পর্যন্ত তাদের উৎপাদিত সেটগুলোর কমপক্ষে ৫ শতাংশ সেট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টেস্টিং ল্যাব থেকে গুণগত মান যাচাই করে প্রাপ্ত সনদ হাওর বার্তাতে জমা দিতে হবে।
হাওর বার্তা তাদের নির্দেশিকায় জানিয়েছেন,  দেশে প্রতিবছর প্রায় তিন কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি হচ্ছে। এর ফলে আমাদের দেশ থেকে বড় অঙ্কের  বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। দেশে হ্যান্ডসেটের স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বা সংযোজনের ব্যবস্থা হলে  দেশের টাকা দেশেই থাকবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তৈরি হবে কারিগরি সুদক্ষ জনবল যা, আমাদের প্রয়োজন। এর সাথে সাথে বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ। ক্রেতারা পাবে অনেক কম দামে আন্তর্জাতিক মানের স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বাড়লে বাড়বে ইন্টারনেটের গ্রাহক, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ঘটবে। সবকিছু বিবেচনা করেই এই নির্দেশিকাটি তৈরি করে প্রকাশ করা হয়েছে।
গুণগত মানের পাশাপাশি বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতেও রয়েছে  হাওর বার্তার নির্দেশনা। প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি কোম্পানিকে কম হলেও  ঢাকায় চারটি, চট্টগ্রামে তিনটি, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে দুটি এবং সব জেলা শহরে একটি করে সার্ভিস সেন্টার চালু করতে হবে। গ্রাহকের চাহিদা ও পণ্যের বিক্রির ওপর বিবেচনা করে সার্ভিস পয়েন্ট আরো বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিয়েছে হাওর বার্তার। সূত্র : বিটিআরসি
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশে মোবাইল কারখানা স্থাপনের নির্দেশিকা প্রকাশ

আপডেট টাইম : ০৩:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশেই মোবাইল তৈরির কারখানা স্থাপন ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (হাওর বার্তা) একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে ৮ হাজার কোটি টাকার মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে দেশীয় উৎপাদনের সুযোগ নিশ্চিত করতে মোবাইল ডিভাইস উৎপাদন ও সংযোজন কারখানা স্থাপনের নির্দেশিকা জারি করেছে হাওর বার্তা । গতকাল এই নির্দেশিকাটি হাওর বার্তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে।
নির্দেশিকা অনুসারে এ বিষয়ে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুই ধরনের তালিকাভুক্তি সনদ দেওয়া হবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির সনদ নিতে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে হাওর বার্তাকে। সঙ্গে যোগ হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। একই সঙ্গে তাদেরকে মানসম্মত লে-আউটের মাধ্যমে নিজস্ব একটি টেস্টিং ল্যাব করতে হবে। এসব ল্যাবে প্রয়োজনীয় সব টেস্টিং সুবিধাসম্পন্ন বিভিন্ন বিভাগ বা শাখা থাকতে হবে। অন্যদিকে যারা ‘বি’ ক্যাটাগরির সনদ নেবে তাদের লাগবে ১০ লাখ টাকা। এই ক্যাটাগরিতে তাদের নিজেদের টেস্টিং ল্যাব না থাকলেও চলবে। তবে তাদের ‘এ’ ক্যাটাগরির সনদধারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে তাদের হ্যান্ডসেট উৎপাদন বা সংযোজনের যাবতীয় টেস্ট সম্পন্ন করাতে হবে। আবার  ‘বি’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত সনদপ্রাপ্তরা তাদের যাবতীয় টেস্টিং সুবিধা বা যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ নিজস্ব ল্যাব স্থাপন করতে সক্ষম হলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করাতে পারবে এবং তারা সনদ পাবে।
সব ক্যাটাগরির তালিকভূক্ত কোম্পানিরা তাদের নিজস্ব ল্যাব স্থাপনের আগ পর্যন্ত তাদের উৎপাদিত সেটগুলোর কমপক্ষে ৫ শতাংশ সেট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টেস্টিং ল্যাব থেকে গুণগত মান যাচাই করে প্রাপ্ত সনদ হাওর বার্তাতে জমা দিতে হবে।
হাওর বার্তা তাদের নির্দেশিকায় জানিয়েছেন,  দেশে প্রতিবছর প্রায় তিন কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি হচ্ছে। এর ফলে আমাদের দেশ থেকে বড় অঙ্কের  বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। দেশে হ্যান্ডসেটের স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বা সংযোজনের ব্যবস্থা হলে  দেশের টাকা দেশেই থাকবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তৈরি হবে কারিগরি সুদক্ষ জনবল যা, আমাদের প্রয়োজন। এর সাথে সাথে বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ। ক্রেতারা পাবে অনেক কম দামে আন্তর্জাতিক মানের স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বাড়লে বাড়বে ইন্টারনেটের গ্রাহক, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ঘটবে। সবকিছু বিবেচনা করেই এই নির্দেশিকাটি তৈরি করে প্রকাশ করা হয়েছে।
গুণগত মানের পাশাপাশি বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতেও রয়েছে  হাওর বার্তার নির্দেশনা। প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি কোম্পানিকে কম হলেও  ঢাকায় চারটি, চট্টগ্রামে তিনটি, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে দুটি এবং সব জেলা শহরে একটি করে সার্ভিস সেন্টার চালু করতে হবে। গ্রাহকের চাহিদা ও পণ্যের বিক্রির ওপর বিবেচনা করে সার্ভিস পয়েন্ট আরো বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিয়েছে হাওর বার্তার। সূত্র : বিটিআরসি